ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মণকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ডা. ধনদেব বর্মণকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তার জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর ও ডা. ধনদেবের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ধনদেব বর্মণ বলেন, আপনারা ভিডিও দেখেছেন। আমার বলার কিছু নেই। কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি মেনে নেব। হাসপাতাল সূত্র জানায়, একটি সেমিনারে যোগ দিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে যান ডিজি আবু জাফর। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনের সময় ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বলেন, এটি লেখার টেবিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
ডিজিকে বলতে শোনা যায়, আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন? কথাবার্তায় সতর্ক হোন! এরপর তিনি সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের ভিডিও করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, ডিজির সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, রোগীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করে?
জবাবে ডা. ধনদেব বলেন, আমি রোগীর সঙ্গে অনেক ভালো বিহ্যাব করি। কিন্তু যারা দায়িত্বে আছে, তাদের সঙ্গে আমার বিহ্যাব ভালো না।
তখন ডিজি বলেন, আপনি তো বিহ্যাবই শিখেন নাই।
চিকিৎসক বলেন, ঢাকায় তিন দিনের ট্রেনিং করলাম। আপনার দুদিন আসার কথা ছিল, একদিনও আসেননি। আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম।
পরে ডিজি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌসকে বলেন, আপনারা কীভাবে প্রশাসন চালান?
পরিচালক বলেন, তিনি এমন আচরণ করবেন ভাবিনি। তিনি সব সময় আমাদের সঙ্গে নরম গলায় কথা বলেন।
সেসময় কিছু কর্মকর্তা চিকিৎসককে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু ডিজিকে বলতে শোনা যায়, ক্ষমা চাইতে হবে না। তিনি এই জায়গা ও হাসপাতালের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য। এরপর ডিজি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

