ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী।
ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বরিশাল থেকে রাজীব আহমেদ জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি একতলায় একটি দোকানে বসে ছিলেন। সেখানে সবকিছু কাঁপছিল।
নেত্রকোনা শহরের নাগরা এলাকার বাসিন্দা নিরাময় সরকার বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তিনি খেতে বসেছিলেন। ভবনটি হঠাৎ কেঁপে ওঠে। তাড়াহুড়া করে বাচ্চাদের নিয়ে বের হতে গিয়ে তিনি পায়ে ব্যথা পেয়েছেন। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কেউ ঘরের কোনায় দাঁড়িয়েছেন, কেউ দৌড়ে রাস্তায় নেমেছেন, কেউ করেছেন ভিডিও
ঢাকার মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, হঠাৎ পুরো বাসা যখন দুলছিল, তখন নাতনিকে বুকে জড়িয়ে এককোনায় দাঁড়িয়েছিলেন। অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন।
যাত্রাবাড়ীর নবীনগর এলাকার বাসিন্দা শারমিন আক্তার বলেন, ‘এভাবে ভবন দুলতে আগে কখনো দেখিনি। সন্তানদের নিয়ে দৌড়ে নিচে নেমেছি।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, ভূমিকম্পে অনেকে বাসার দেয়াল ফেটে যাওয়ার ভিডিও শেয়ার করেছেন। আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন ছবিও অনেকে শেয়ার করেছেন। মিরপুর, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও পুরান ঢাকাসহ প্রায় সব এলাকাতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী।
শ্যামলীর বাসিন্দা ওয়াহিদ খান বলেন, ‘এতটা তীব্র ভূমিকম্প জীবনে অনুভব করিনি। মনে হলো মাথার ওপর যেন কিছু একটা ধসে পড়তে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাচ্চাকে কোলে নিয়েই দৌড়েছি। নিচে নামার সময় শুধু একটাই ভয়-সিঁড়িই না ভেঙে পড়ে!’
কম্পনের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকাবাসী তাঁদের অভিজ্ঞতা জানাতে থাকেন। কেউ লিখেছেন, ‘এভাবে ঢাকা কখনো কাঁপেনি।’ আবার কেউ বলেন, ‘মনে হলো পুরো বিল্ডিংটা দুলে যাচ্ছে।’
অনেকেই তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে ভবনের জানালা-দরজা কেঁপে ওঠার শব্দ স্পষ্ট শোনা যায়।

