যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসকারীরা তাদের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায়) সব ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। ভোট শেষ হবে স্থানীয় সময় রাত নয়টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল আটটায়)।
শহরের শীর্ষ এই পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৪ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক এবং কুইন্সের রাজ্য পরিষদ সদস্য জোহরান মামদানি (ডেমোক্র্যাট প্রার্থী), স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া।
৩ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশিরভাগ জরিপে দেখা গেছে মামদানি বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন।
এর আগে মেয়র নির্বাচনের আগাম ভোটগ্রহণ ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২ নভেম্বর শেষ হয়েছে। প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন।
নিউইয়র্কে চার বছর পরপর মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ বছরের নির্বাচন বিশেষভাবে নজর কেড়েছে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেখানে প্রতিযোগিতা হবে প্রগতিশীল, প্রতিষ্ঠাবাদী ও রক্ষণশীল শিবিরের মধ্যে।
এনওয়াইসি নির্বাচন বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ২ নভেম্বর শেষ হওয়া প্রাথমিক ভোটের প্রথম পাঁচ দিনে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৬ জন নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন। এছাড়া ৪৬ হাজার ১১৫ জন রিপাবলিকান এবং কোনো দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নন- এমন ৪২ হাজার ৩৮৩ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।
মামদানির অপ্রত্যাশিত আবির্ভাবের কারণ হলো তরুণ নিউ ইয়র্কবাসী। তরুণরা তার পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, প্রায় ৯০ হাজার মানুষ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তার পক্ষে কাজ করেছে।
এক ডেইলি শো তে মামদানি বলেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারণ, যখন লোকেরা অন্যান্য নিউ ইয়র্কবাসীদের সঙ্গে আমাদের ভালোবাসার শহর সম্পর্কে কথা বলে।’
মামদানির পক্ষে প্রচারণার নেতৃত্ব দেওয়া কুইন্সের এক কিশোর আবিদ মাহদি এএফপিকে বলেন, ‘যখন আমি জোহরান সম্পর্কে ভাবি, তখন আমার মনে হয় ২০১৬ এবং ২০২০ সালে অনেক আমেরিকানের কাছে প্রিয় বার্নি স্যান্ডার্স-এর মতো। তিনি অনেক দিক থেকে আমার কাছে বার্নি স্যান্ডার্স।’

