ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুর্নলে বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর একটি ভলভো বাসে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় ভোরের আগে সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সময় হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই স্লিপার কোচটিতে ৪০ জন আরোহী ছিলেন বলে জানিয়েছে হিন্দু। কুর্নল জেলার চিন্নাতেকুরু গ্রামের কাছে হওয়া এই বাস দুর্ঘটনায় দগ্ধ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর প্রথমে বাসটির সামনের অংশে আগুন ধরে যায়, এরপর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরিত হয়। দুর্ঘটনার সময় যাত্রীদের অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন; আগুন ও ধোঁয়ায় জেগে উঠলেও সময়মতো তারা বাস থেকে বের হতে পারেননি। এনডিটিভি লিখেছে, বাসটি মধ্যরাতের দিকে হায়দরাবাদ থেকে যাত্রা শুরু করে এবং রাত সাড়ে তিনটার দিকে কুর্নলের কাছে মহাসড়ক ৪৪-এ বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। মোটরবাইকটি বাসের নিচে ঢুকে পড়ার পর আগুনের সূত্রপাত হয় বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় বাসচালক পালিয়ে গেছে বলে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি। আগুন ধরার মুহূর্তের মধ্যে তা পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। “১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে,” জানিয়েছেন কুর্নলের পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট বিক্রান্ত পাতিল। এ ঘটনায় বাসচালক পালিয়ে গেছে বলে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি। আগুন ধরার মুহূর্তের মধ্যে তা পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। “১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে,” জানিয়েছেন কুর্নলের পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট বিক্রান্ত পাতিল।
পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া কিছু মৃতদেহ শনাক্ত করা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এমপি বাইরেড্ডি শবরি। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর রাজস্থানে একটি চলন্ত বাসে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় ২০ জন জীবন্ত পুড়ে মরেছিল। শর্ট সার্কিটের কারণে জয়সলমির থেকে যোধপুরগামী এসি বাসে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
 
		

