ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাড়ির কাছে গুলিতে আহত হয়েছেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান মুকুল। ২৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার আদালত পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পিঠে ও কোমরে গুলিবিদ্ধ মুকুলকে ঢাকায় পাঠানোর তথ্য দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক।
৫২ বছর বয়সী যুবদলের এই নেতা উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে। তিনি নবীনগর উপজেলা যুবদলের দুইবারের আহবায়ক, একবার সভাপতি এবং পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মুকুলের ওপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ছোট ভাই মো. শামিম বলেছেন, মুকুল বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দিনভর উপজেলার বীটঘর বাজারে দলীয় প্রচারপত্র বিলি করেন। সন্ধ্যায় উপজেলায় সদরে ফিরে বিএনপির কার্যালয়ে যান। এরপর তিনি উপজেলার পৌর এলাকার পদ্মপাড়ার নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ৮টার ১০ মিনিটের দিকে পৌর এলাকার আদালতপাড়া অতিক্রম করার পরপরই পেছন থেকে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি করা হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে মুকুলকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কথা তুলে ধরে শামিম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “আমরা ভাইকে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছি।” নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মুকুলের পিঠে দুটি এবং কোমরের নিচে একটি গুলি লেগেছে। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ওসি মো. শাহীনুর ইসলাম রাত ১০টার দিকে জানান, “আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। “আমি একটু আগে রোগীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলেছি। যুবদল নেতা জানিয়েছে ওনার কোন শত্রু নাই। গুলি করা অবস্থায় কাউকে তিনি দেখেনি এবং চিনেও নাই।”
তদন্ত শুরুর কথা তুলে ধরে ওসি বলেন, “ওনার বাড়ির সামনে সিসিটিভি থাকলে ফুটেজ দেখে তদন্ত করা যেত।”
 
		

