দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২৩ নভেম্বর ঢাকায় এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী দ্রুকএয়ারের বিশেষ ফ্লাইটটি সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তোবগে ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে খোঁজ নেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে একটি অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর সম্মানে ১৯ বার তোপধ্বনি করা হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তিনি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
দিনের পরবর্তী সময়সূচি অনুযায়ী, বিকেলে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর বেলা ৩টার দিকে তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হবেন।
সফরের শেষ ভাগে, সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্মানে আয়োজিত একটি সরকারি ভোজসভায় যোগ দেবেন। দুই দিনের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

