বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটের দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান জুবাইদা রহমান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
জুবাইদা রহমান হাসপাতালের ইমার্জেন্সি লিফট দিয়ে খালেদা জিয়া যেখানে চিকিৎসাধীন, সেখানে যান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জুবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি লন্ডন থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
চিকিৎসার জন্য শাশুড়িকে লন্ডনে নিতে জুবাইদা রহমান ঢাকায় এসেছেন। কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি ত্রুটির কারণে না আসায় খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে গেছে। আজ সকাল ১০টায় বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে, মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, খালেদা জিয়া আগামী রোববার লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুকে জানানো হয়, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামীকাল শনিবার পৌঁছাতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্তথাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’
১৩ দিন ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেটা কিছুটা উন্নতির দিকে। হৃদ্যন্ত্রে জটিলতাও কিছুটা কমেছে। তবে অন্য সমস্যাগুলো অনেকটাই অপরিবর্তিত।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

